দ্বিতীয় বারের বন্যা কবলিত, সিলেট জেলার বেশ কয়েটি উপজেলা, বিশ্বনাথ,ছাতক,দিরাই,শাল্লা,তাহিরপুর,জগন্নাথপুর সহ আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন এই মহা বিপদ থেকে যেন রক্ষা করেন। প্রথম বারের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার বন্যার কবলে বিহত্তর সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা পানি বন্ধি জনগন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
উত্তর বিশ্বনাথে লামাকাজি, খাজান্জী, অলংকারী, রামপাশা ও দৌলতপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আঁকার ধারণ করছে। পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। গ্রাম গঞ্জে হু হু করে পানি ঢুকছে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার কয়ে লক্ষ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছেন।
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিশ্বনাথ সবত্রই বন্যা দেখা দিয়েছে। ১ মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির,মৎস্য খামার, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও হাট- বাজার। উপজেলার সর্বত্রই এখন বন্যার পানি থৈ-থৈ করছে।বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এখানে সুরমা, কুশিয়ারা ,চেলা নদী সহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ও নদ- নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ধারণা বিশ্বনাথ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ইতিমধ্যে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সদরের সাথে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শহরের অদুরে বৈরাগী বাজার থেকে সিংগের কাছ বাজর এলাকায় তলিয়ে গেছে ছাতক- সিলেট সড়ক। সকাল থেকে সিলেট সহ সারা দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শহরের অলি-গলি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে ভরপুর হয়ে পড়েছে । ছাতক- আমবাড়ি দোয়ারা সড়ক,ছাতক- জাউয়াবাজার, নোয়ারাই -বালিউরা,নরশিংপুর,চৌমুহনীবাজার, লক্ষীবাউর সড়ক, কৈতক-হায়দরপুর, জালালপুর লামারসুলগঞ্জ, জাউয়া-বড়কাপন, মুক্তিরগাও,গোবিন্দগঞ্জ-লাকেশ্বর বাজার,বুরাইয়া,দোলার বাজার, কালারুকা, হাসনাবাদ, কান্দিগাও,হাদা, মাদ্রাসা বাজারসড়কসহ গ্রামীণ সব ক’টি সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। গ্রামীণ হাট বাজার ছাড়াও ছাতক শহর,নোয়ারাই বাজার, ফকির টিলা,পেপার মিল,কুমনা,মুক্তিরগাও, রহমতবাগ,মন্ডলীভোগ, ছোরাব নগর,চরেরবন্দ এলাকার শত- শত বাসা-অফিস ও দোকানে বন্যার পানি ঢুকেছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ, দোলারবাজার, ধারণ বাজার, জাউয়াবাজার, আলীগঞ্জ বাজার, পীরপুর বাজার, কপলাবাজার, বুরাইয়াবাজার, জাহিদপুর বাজার, কামারগাঁও বাজার,হাজীর বাজার,মাদ্রাস বাজার, হাদা বাজার,লক্ষীবাউর বাজার, হাসনাবাদ বাজার , কালারুকা বাজার,আমেরতল বাজার সহ সকল গ্রামীণ হাট। অনেকই দোকান ও বাসাবাড়ির মালামাল সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। উজানের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে ব্যাপক হারে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ শহরের সকল চুনশিল্প কারখানা,ক্রাশার মিল বন্ধ। সুরমা নদীতে নৌকা- কার্গো লোডিং আন লোডিং ও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে শত-শত শ্রমিক এখানে বেকার। একাধারে ভারী বর্ষণের কারণে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে
Leave a Reply