বিশ্বনাথের সুদর্শন তরুন রুহেল খান আকাশের বিমানেও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চান। বিশ্বনাথের পল্লীগাঁয়ের ছেলে রুহেল এখন বাংলাদেশ বিমানের একজন কেবিন ক্রু হিসেবে তার সেই স্বপ্ন পূরনে আজ অনেক দূর এগিয়েছেন।
রুহেল খান প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামের মো: রফিক খান এবং সেলিনা বেগম দম্পতির পুত্র । রুহেল বাড়ীর পার্শ্ববর্তী প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে এস.এস.সি এবং ২০১০ সালে গভর্মেন্ট কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউট থেকে এইস.এস.সি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করে । বর্তমানে সে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ইংরেজী অনার্সে অধ্যয়নরত । আর এর মধ্যে বিমানের ক্রু হিসেবে আকাশে বসে পুরো বিশ্বকে ঘুরে দেখার নেশায় তাকে পেয়ে বসে । সেই ভাবনা থেকে রুহেল দীর্ঘ কয়েক মাস প্রশিক্ষন শেষে বাংলাদেশ বিমানের কেবিন ক্রু হিসেবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করার সুযোগ পায় । ইতিমধ্যে বিমানের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে । রুহেল প্রবাসী এলাকার সন্তান হওয়ায় এবং তার অনেক আত্মীয় স্বজন প্রবাসী হওয়ায় শুনেছে বাংলাদেশ বিমান ও এয়ারপোর্ট নিয়ে তাদের অনেকের অনেক অসন্তুষ্টির কথা । সে কারণে এক সময় তার ইচ্ছে হয় বিমানের কেবিন ক্রু হিসেবে আকাশ পথেও দেশের যাহাতে প্রিয় মাতৃভূমির মুখ আরো উজ্জ্বল হয়ে সেভাবে কাজ করা। রুহেল মত দেশপ্রেমিক তরুনরা নিজ মাতৃভূমির সুনাম বিশ্বদরবারে আরো উচু করে তুলে ধরবেন সেই প্রত্যাশা দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের ।
রুহেলরা ৫ ভাই ও ১ বোন । তার মত তার ভাইয়েরা সবাই প্রতিভাবান। এর মধ্যে মোঃ মামুন খান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে , মোঃ নোমান খান সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, মোঃ ইমন খান স্থানীয় প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং মোঃ মোমিন খান দশপাইকা আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত । এখানে উল্লেখ্য মোঃ মামুন খান
শাহজালাল ইয়াকুবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে আলিম পাশ করে।
রুহেল খান ২০১১ সালে বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী লার্নিং পয়েন্ট এর স্পোকেন ইংলিশের শিক্ষক ছিল এবং আরেকটি একাডেমীতে ২০১২- ২০১৩ সালে আই.ই.এল.টি.এস এর শিক্ষক ছিল । আর রুহেল খান ইতিমধ্যে লায়লা বেগমের সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্ধ হয়েছেন । তার স্ত্রী বর্তমানে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বি.এ অনার্স (ইংরেজী) অধ্যয়নরত । গ্রীনল্যান্ড কিন্ডার গার্ডেনের প্রাক্তন শিক্ষিকা লায়লা বেগম ক্বারিয়ানার সনদপ্রাপ্ত মহিলা ক্বারীও।