রাজা মিয়া, বিশ্বনাথ:: গ্রামীণ ঐহিত্য ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা পরিচিত করার লক্ষেই বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরি গ্রামে দুই দিন ব্যাপী এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোতিার আয়োজন করেন।
বিকেলে দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরি গ্রামের আমন ধানের ফাঁকা জমিতে এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অনন্ত ৬০ জোরা ঘোড়া অংশ নেয়। এরমধ্যে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের চার-পাঁচ জন কিশোরও ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
শেরপুর থেকে ঘোড় দৌড় দেখতে আসা সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখে খুবেই ভালো লাগছে। এমন আয়োজনে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে আবেগ আপ্লুত হয়েছি। এ আয়োজন যেন মহামিলন মেলায় পরিণত হয়েছে’। কালিজুরি গ্রামের শিক্ষার্থী আয়শা আকতার বলেন, ‘জীবনের প্রথম নিজ গ্রামে ঘোড় দৌড় দেখতে পেরে আনন্দিত।
এ প্রতিযোগিতা দেখে হারিয়ে যাওয়া ঐহিত্যকে মনে পড়ে গেলো। তবে এমন আয়োজন প্রতিবছরেই হলোই ভালো হয়’। সুশিল চন্দ্র নামে এক গোড়া মালিক তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনেক প্রতিযোগিতায় তিনি বিজয়ী হয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজও তিনি বিজয়ী হন। শারীরিক অবস্থা যতদিন ভালো থাকবে ততদিন তিনি ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন’।
দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খায়রুল আমীর আজাদ বলেন, ‘গ্রামীণ ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা পরিচিত করতে গতবছর প্রথম আয়োজন করা হয় ঘোড় দৌড়ের সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আগামীতেও আরো বড় পরিসরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে’।
ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজনকারীরা জানান, ‘ফুটবল, হাডুডু, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলা করেন তিনি। এ কারণে সব খেলাই তার কাছে জনপ্রাীয়। ভালো লাগা আর গ্রামীণ ঐহিত্যবাহী টিকিয়ে রাখতে এমন আয়োজন করি। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ায় আয়োজক কমিটি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান’।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১২০ টি ঘোড়ার মধ্যে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ঘোড়া নিয়ে আলাদা আলাদা দৌড় শুরু হয়। এরপর চুড়ান্ত ভাবে তিনটি গ্র“পের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃত্বীয় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
Leave a Reply